Search This Blog

FCO Travel Advice

Bangladesh Travel Advice

AFRICA Travel Widget

Asia Travel Widget

Sunday, January 9, 2011

ফাহিম-ফারহা: হাকালুকি হাওরে


হাকালুকি হাওরে
হাকালুকি হাওরে এখন অনেক পাখি। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ও খাবারের খোঁজে হাজার হাজার মাইল আর পথে ৩১০০০ ফুট উঁচু হিমালয় পেরিয়ে আমাদের দেশের হাওরগুলোতে আসে এসব পাখি। হালালুকি হাওরে যাবে নাকি পাখি দেখতে? এম আহসানুল হক খোকন ঢাকা থেকে উপবন ট্রেনে রওনা হয়ে ভোর ৫টায় সপরিবারে কুলাউড়া রেলস্টেশনে পেঁৗছালাম রাতদুপুরে। ফাহিম ও ফারহা তখন গভীর ঘুমে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে পরিযায়ী পাখি (যারা আবহাওয়া বা খাবারের জন্য স্থান পরিবর্তন করে), বুনো ফুল ও প্রকৃতি দেখার জন্য আমাদের এই সফর। আঁধার তখনো কাটেনি। ভোর ৬টার মধ্যেই শ্যামলের জিপ গাড়িযোগে হাকালুকি হাওরে রওনা হলাম। পথে মানুষজন নেই বললেই চলে। সুয্যিমামা উঠি উঠি করছে। প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে হাওরের এক মাথায় পেঁৗছালাম। হাজার হাজার পাখির কলকাকলিতে মুখরিত বিস্তীর্ণ প্রান্তর। ফাহিমের ঘোর লেগে গেল। ফারহানা জানতে চাইল, যাবো কোনদিকে? বললাম, পা ফেলি চলো। কিছু দূর যাওয়ার পর দুজন মাছ ব্যবসায়ীর দেখা মিলল। জানলাম, ওরা হেঁটে নাগোয়া বিল যাবে। আমরা সারা দিন জিপে নাগোয়া, হিঙ্গাজুর, পানাবিল প্রভৃতি স্থান ঘুরে সন্ধ্যায় পুটবিলে তাঁবু ফেলব। তাঁবু, খাবার, স্ন্যাকস পানীয় প্রয়োজন মতো সঙ্গে এনেছি।
হাকালুকি হাওরের ২০,৪০০ হেক্টর এলাকায় প্রায় ২৩৮টি বিল রয়েছে। নাগোয়া বিল হাকালুকি হাওরের দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত। যেতে যেতে শকুনের একটা ঝাঁক ডানা মেলে আকাশে ভেসে থাকতে দেখা গেল। পাশের জল-কাদায় কানিবক, ছোট বক, হট্টিটি, শামুক খোলের দেখা পেলাম। সবুজ মাঠে গরু-মহিষের পালের ধারেকাছেই গোশালিক, গাং শালিকের ঝাঁক। গরু-মহিষের গায়ে থাকা পোকামাকড় খেতে বুনো শালিক হামলে পড়েছে। ঘণ্টাখানেক চলে এক জায়গায় বসে সঙ্গে আনা কেক, পাউরুটি দিয়ে সকালের নাশতা সারলাম। নাশতা পর্ব শেষ করেই কুরা যাত্রা শুরু হলো। আবার চলার শুরুতেই ভরত, ধানী তুলিকা ও ধলাখঞ্জন দেখা গেল। প্রায় আধঘণ্টা চলার পর ঘরকুরি বিলের পাহারা কুটিরে পেঁৗছাই। বিস্তৃর্ণ হাওর এলাকায় এ ধরনের কুটিরে বিলের মাছ ও বাথানের পশু পাহারা চলে। কুটিরের লোকজন বসতে অুনরোধ করল। গ্লাস ভরে গরুর দুধ দিল খেতে। তাঁদেরকে বিস্কুট দিল ফাহিম-ফারহা। ঘরকুরির কুটির থেকে রওনা হয়ে কিছু দূর যেতেই প্রায় ৫০টি চকাচকি হাঁসের দলকে চরতে দেখা গেল। বুনো হাঁস দেখে ফাহিম ও ফারহা আনন্দে আত্মহারা। এরা মানুষ দেখে অভ্যস্ত মনে হলো। খুব কাছ থেকেই ছবি তুললাম। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ও খাবারের খোঁজে হাজার হাজার মাইল আর পথে ৩১০০০ ফুট উঁচু হিমালয় পেরিয়ে আমাদের দেশের হাওরগুলোতে আসে এসব পাখি। ফাহিম জানতে চাইল, বুনো হাঁসের খাবার কী? বললাম বুনো হাঁসদের কেউ বিলের উপরিভাগের জমি থেকে ধান-দানা জাতীয় শস্য, কেউ পানির উপরিভাগের শ্যাওলা, লতাগুল্ম এবং কেউ কেউ পানিতে ডুব দিয়ে শামুক-ঝিনুক খায়। নাগোয়া বিলের পাহারা কুটির বিন্দুর মতো চোখে পড়ছে। আকাশে হাজার হাজার হাঁসের কাকলী। প্রায় ঘণ্টাখানেক হেঁটে নাগোয়া বিলে পেঁৗছলাম। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার হাঁটায় আমরা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এখানে বসে বিশ্রাম নিতে নিতে হঠাৎ বৃষ্টি এলো। একটু ঘুমিয়ে নিলাম। দুপুরে বড় আইড়, পাবদা, চাপিলা মাছের ঝোলে দারুণ ভোজ হলো। ততক্ষণে বৃষ্টিকে হারিয়ে দিয়ে রোদ এসে পড়েছে। আমরা আবার রওনা করলাম। এবারের গন্তব্য পুট ও হিঙ্গাজুরি বিল। কারণ গত দুই বছর এই দুটি বিলে মাছ ধরা হয়নি। ফলে এখানে প্রচুর দেশি এবং শীতের পরিযায়ী পাখির বিচরণ। বেলা দুটোয় রওনা করে কখনো সবুজ ঘাস, কখনো ধানক্ষেত, কখনো কর্দমাক্ত পথে আমরা চলেছি। পথে চকিয়া বিলে মাছ নিলামের হৈ চৈ দেখলাম। চকিয়া থেকে আরো ঘণ্টাখানেক চলার পর সামনে বড় একটা খালের পাড়ে ধানি জমির আলপথ ধরে পথ চললাম। কাছের এক কুটিরে গিয়ে আমার পূর্ব পরিচিত কয়েকজনকে পেলাম। আগেরবার পাখি শুমারির দেখা হয়েছিল। কুটিরের ধারে আমরা তাঁবু বাঁধলাম। তারপর ছৈওয়ালা নৌকায় পাখি দেখতে বের হলাম। ঝাঁকে ঝঁকে বড়সরালী, ছোট সরালী, ল্যাঞ্জাহাঁস, পাতি তিলিহাঁস, গিরিয়া, গাডওয়াল, খুন্তে হাঁস, টিকিহাঁস, বালিহাঁস, সিথীহাঁস, ভূঁতিহাস দেখলাম। দেশি প্রজাতির মধ্যে কালেম, ময়ূর, লেজা জলপিপি, জলপিপি, পানমুরগি, পানডুবি, পানকৌড়ি, ছোট নথ জিরিয়া, ছোট ডুবুরি, কুড়া ঈগল, শঙ্খচিল দেখলাম। সন্ধ্যায় পূর্ণিমার বড় চাঁদ রুপালি আলোয় বিশ্ব চরাচর উদ্ভাসিত করলে জেলেদের গানের আসরে যোগ দিলাম। রাতে টাটকা মাছের ঝোলে মজার ভোজ হলো। মধ্যরাতে আবার বৃষ্টি এল। এমন বৃষ্টিতে তাঁবুতে থাকতে ভয় পাচ্ছিলাম ফাহিম ও ফারহার জন্য। কিন্তু ওরাই বলল, মজা লাগছে। ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। চমৎকার স্বপ্নে ভোরে ঘুম ভেঙে দেখি বিলের পানি বেড়ে গেছে। সোনাব্যাঙ ডাকছে চারদিকে। বৃষ্টির মাঝে ডিঙ্গি নৌকায় করে ভোরের পাখি দেখতে লাগলাম। ঝাঁকের খুব কাছে যাওয়া গেল। এই সময় বিশ্বে বিপন্ন দুটি মরচেরং ভূতিহাঁস দেখার সৌভাগ্য হলো। পুরো দিন নৌকায় শুয়ে-বসে এবং বৃষ্টির চঞ্চলতা দেখে কেটে গেল। তৃতীয় দিন রোদ উঠল। বেগুনি রঙের একদল কালেম ঝোঁপ থেকে বেরিয়ে বিলের ধারে খাবার খুঁজতে দেখলাম। ছোট সরালী, রাজসরালী, কূট, ছোটডুবুরি, ডাহুক, পাতিপানমুরগি, উত্তুরে খুন্তে হাঁস, বালিহাঁস দেখলাম। ৯টা পর্যন্ত পাখি দেখা শেষে চা-নাশতা সারলাম। তারপর হেঁটে পুটবিলে যেতে আধঘণ্টা সময় লাগল। এই বিলে বিপন্ন প্রজাতির মাকনা ফুলের সমাহার দেখে সবাই আমরা উচ্ছ্বসিত। একসময় মাকনা সারা দেশের বিলে দেখা গেলেও এখন শুধু হাকালুকি হাওরের কয়েকটি বিলে দেখা যায়। মন ভরে আমরা মাকনা ফুল ও গাছের ফটো তুললাম। মালাম বিলে যেতে আটটি মৃত পিয়ং দেখে মনটা খুব খারাপ হলো। বিলে বিষটোপ দিয়ে এদের হত্যা করা হয়েছে। পুট ও পানাবিলের মাঝে হিজল-করচের বনে বুনোতুলশী, নলখাগড়া দেখলাম। নলখাগড়া বনের দাগিঘাস পাখির সুরেলা ধ্বনিতে চারপাশ মুখরিত। এখানে রংবেরঙের গঙ্গাফড়িং, ঘাসফড়িং দেখে ছবি তুললাম। বিকেলে আরো পাখি ও বুনো গাছ দেখতে দেখতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। এখানে বৃষ্টি, বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তরে পাখির রাজ্যে দুটি দিন যেন স্বপ্নের মতো গেল। ফিরতি পথেও ফাহিম-ফারহা পাখির রাজ্যেই ডুবে থাকল।

ছবি : লেখক
Source: Daily Kalerkantho

সাগরের ইলিশ হাকালুকি হাওরে

মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকী
হাকালুকি হাওর থেকে আহরিত সাগরের ইলিশের একাংশ

হাকালুকি হাওর থেকে আহরিত সাগরের ইলিশের একাংশ

বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি মাছ, যার নাম ইলিশ। শুনলেই ভোজন রসিক বাঙ্গালীর জিভে জল এসে যায়। এ মাছে রয়েছে ৫৩.৭ ভাগ পানি, ১৯.৪ ভাগ চর্বি, ২১.৮ ভাগ আমিষ এবং অবশিষ্টাংশ বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। ইলিশে পাওয়া যায় শতকরা ৬০ ভাগ খাওয়ার উপযোগী flash বা মাছ। ইলিশে বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মানুয়ের রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, ফলে হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। এ মাছের আমিষে ৯ ধরনের এমাইনো এসিড পাওয়া যায় যা মানুষের পাকস্থলীতে তৈরী হতে পারে না। এছাড়া ইলিশে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ ইত্যাদির পাশাপাশি ভিটামিন এ, ডি এবং কিছু পরিমাণ ভিটামিন বি পাওয়া যায়। ইলিশের স্বাদ এবং গন্ধ নির্ভর করে তার তেলের উপর এবং এর দেহস্থ সুঘ্রাণ ও ভাজার সময়ের ঘ্রাণ আশেপাশের মানুষের নাগের ডগায় কেন যে ছড়িয়ে পড়ে তার কোন সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া না গেলেও ইলিশ নিঃসৃত সুগন্ধি পার্থিব অনেক সুগন্ধিকেই হার মানায় নিঃসন্দেহে। আর সমুদ্র পাড়ের সে ইলিশ যদি এসে ধরা দেয় আমাদের স্বাদু পানি বেষ্টিত বিশাল গোলাকার চৌবাচ্চা সদৃশ বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে তাহলে কেমন হয়!

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন স্বাদু পানির মৎস্য ভাণ্ডার বলে খ্যাত সিলেটের হাকালুকি হাওরে এ বছর (জুন) প্রচুর পরিমাণে ইলিশের সমাগম দেখা যাচ্ছে। অতীতে হাকালুকি হাওরে মাঝে মধ্যে দু’ একটা ইলিশ মাছ নজরে পড়লেও এ বছর এর পরিমান বেশ চোখে পড়ার মত। জানা যায়, আগাম বন্যা ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে এ বছর বেশ আগে ভাগেই হাকালুকি হাওর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে বিভিন্ন জাতের ছোট-বড় স্বাদু পানির মাছ ইতোমধ্যেই ডিম ছেড়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই জেলেদের জালে হাওরের অন্যান্য মাছের সাথে বেশ কিছু ঝাটকা ইলিশও ধরা পড়ছে। এ বারের আগাম বন্যায় হাওর প্লাবিত হওয়ার সাথে ইলিশের প্রজনন মৌসুম মিলে যাওয়াতে বেশী পরিমাণে ঝাটকা ইলিশ হাওরে ঢুকে পড়ছে বলে মনে করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপকূলীয় ও জলাভূমি জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (সিডবিস্নউবিএমপি) কুলাউড়া অফিসের মৎস্য জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকী।

প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ পূর্নিমার ৫ দিন আগে এবং ৫ দিন পরে ডিম ছেড়ে থাকে। এসময় দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদী এবং নদীর সাথে সংযোগ আছে এমন কিছু বিল ও হাওড় অঞ্চলে এদের দেখা মেলে। এছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে এ সময়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম পরিমাণে বর্জ্য পানিতে নিষ্কাশনের কারনে অধিক পরিমাণে ইলিশ মাইগ্রেট করার সুযোগ পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া সরকারের ঝাটকা নিধন বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলেও ইলিশের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হয়। ইলিশ মাছ নদীর প্রায় ১২০০-১৩০০ কিঃমিঃ উর্দ্ধে পাওয়া যায় এবং এরা দিনে প্রায় ৭১ কিঃমিঃ পর্যন্ত পরিভ্রমণ করতে পারে। হাওরে প্রাপ্ত এ সকল ইলিশ স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফ্রেশ ইলিশের স্বাদ একটু ভাল হলেও তা নদীতে প্রাপ্ত অন্যান্য ইলিশের মত অতটা সুস্বাদু নয় বলে জানা যায়। স্রোতের বিপরীতে চলে আসা এসব ঝাটকা অকালে জেলেদের জালে ধরা না পড়লে হাকালুকিতে এ বছর বেশ ভালই ইলিশ পাওয়া যেত বলে ধারণা করা হয়। পরিপক্ক এক একটা ইলিশ মাছ ওজন ভেদে প্রায় ১.০ -২০.০ লক্ষ পর্যন্ত ডিম দিতে পারে।

প্রশাসনের সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যেই হাওরের ছোট মাছ নিধন রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু বিশাল আয়তনের হাওরের তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনসহ কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, ফেঞ্চুগঞ্জ এবং গোলাপগঞ্জের উপজেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করলে হাওরের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব বলে স্থানীয়দের ধারণা। এ ক্ষেত্রে জন প্রতিনিধিদের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ অতীব জরুরী। হাকালুকির ছোট মাছ রক্ষায় আশু পদক্ষেপ নেয়া না হলে হাওর পাড়ের মুনাফালোভী মহাজন চক্রের কারণে মৎস্য ভাণ্ডার বলে খ্যাত ‘হাকালুকি’ অচিরেই মৎস্য শূন্য হয়ে পড়বে বলে সকলের ধারণা করা হচ্ছে। আর ইলিশ, সেতো অতিথি পাখির মতই এসেছে আবার সুযোগ পেলে চলেও যাবে হয়ত। তবে তাদের বিচরন ও ফিডিং ক্ষেত্র রক্ষা করা গেলে আমরা বারবারই এদের ফিরে পেতে পারি বলে বিশেষজ্ঞগণ ধারণা পোষণ করেন।

Source: www.bdfish.org

No comments:

Post a Comment