Search This Blog

FCO Travel Advice

Bangladesh Travel Advice

AFRICA Travel Widget

Asia Travel Widget

Wednesday, September 15, 2010

খাগড়াছড়ির অরণ্যে

খাগড়াছড়ির অরণ্যে

হেমন্তের সকালে ঘুম ভাঙা চোখে বাইরে তাকাতেই পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা সাদা কুয়াশায় চোখ আটকে গেল। আফসোস! আরেকটু আগে কেন ঘুম ভাঙল না। গাড়িতে থাকা সবাই তখন বড় বড় চোখে বাইরে তাকিয়ে আছে। পাহাড়ি রাস্তায় প্রতি বাঁকে পাহাড়ের গায়ে সাদা কুয়াশা মেঘের মতো লেগে আছে। যেন প্রতিটি পাহাড় কুয়াশার সাদা চাদর দিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। দিনের আলো তখনো ফোটেনি। আধো আলো আধো অন্ধকারের মধ্য দিয়ে গাড়ি ছুটে চলছে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে দুই চোখে যা দেখছি, তা-ই ভালো লাগছে।
এই ভালো লাগার জন্যই খাগড়াছড়িতে আসা। কিছুক্ষণের মধ্যে চলে এলাম আমাদের গন্তব্য খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে।
ভ্রমণের টিভি অনুষ্ঠান ‘বাংলালিংক বাংলার পথে’, ইনসাইটা ট্যুরিজম ও নর্থ আলপাইন ক্লাব, বাংলাদেশ এই ভ্রমণের আয়োজন করেছিল। আগের রাতে যাত্রা শুরু হয়েছিল ঢাকা থেকে। বাংলার পথের উপস্থাপক টিংকু বলেন, অনুষ্ঠান করার জন্য বাংলাদেশের অনেক স্থানে যেতে হয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে ইচ্ছা থাকলেও কাউকে সফরসঙ্গী করা যায় না। তাই পার্বত্য অঞ্চলের খাগড়াছড়ি আমাদের এই ভ্রমণের আয়োজন।
২৩ অক্টোবর সকাল হওয়ার আগেই পৌঁছে যাই পার্বত্য অঞ্চলে।

আলুটিলা
খাগড়াছড়ি জেলার পুরোটাই পাহাড়ি এলাকা।এর মধ্যে মাটিরাঙ্গার আলুটিলা পাহাড়ের সৌন্দর্য হূদয় ছুঁয়ে যায়। আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে ঢোকার প্রধান ফটকের দুই পাশে শতবর্ষী দুটি বটবৃক্ষ স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে। পাহাড়ের বুকে বটগাছ দুটির সৌন্দর্য ভালো লাগে। ফটক দিয়ে ঢোকার পর ডান পাশের রাস্তা দিয়ে মিনিট খানেক হাঁটলেই চোখে পড়বে একটি পাহাড়ি সরু পথ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে নেমে গেছে সেই পথটি। সরু পথটি দিয়ে নেমে পড়ি নিচের দিকে। নেমেই চমকে যাওয়ার মতো অবস্থা। ছোট একটি পাহাড়ি ঝরনা। ঝরনা দিয়ে পানি নামছে। পানি আটকে রাখার জন্য ছোট একটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে। একজন আদিবাসী পাহাড়ি নারী ঝরনা থেকে পানি নিতে ও পূজা দিতে এসেছেন। এই ঝরনার পানি দিয়ে তাঁরা খাওয়াসহ সব কাজ করেন। পাহাড়ি আদিবাসী এই নারী বলেন, ‘এই ঝরনার পানি দিয়েই আমরা আমাদের সব চাহিদা পূরণ করে থাকি। তাই একে পূজা করি।’ ঝরনার পানি দিয়েই ঘুমকাতুরে শরীরটা সতেজ করি আমরা। কিছু দূর এগোলেই পাহাড়ের বুক থেকে কুয়াশা দিয়ে সাদা তুলার মতো ঢেকে থাকা খাগড়াছড়ি শহরটি দেখা যায়। খাগড়াছড়ি জেলাটি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত হলেও শহরটি সমতল ভূমির ওপর। সকালের পাহাড়গুলো আলাদা রূপে সেজেছে। যত দূর চোখ যায়, শুধু পাহাড় আর পাহাড়।
পাহাড়ের নাম আলুটিলা হলেও কোনো আলু পাওয়া যায় না পাহাড়ে। আদিবাসীদের কাছে জানা যায় পাহাড়ের নাম আলুটিলা হওয়ার কারণ। প্রচলিত আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখন কোথাও খাবার পাওয়া যায়নি। ওই সময় এই পাহাড়ে অনেক আলু হয়েছিল। দুর্ভিক্ষের সময় আদিবাসীরা আলু খেয়ে বেঁচে ছিল। সেই থেকে এই পাহাড়ের নাম আলুটিলা পাহাড়। কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর আলুটিলা পাহাড়ের আসল সৌন্দর্য দেখা যায়।

রিছাং ঝরনা
খাগড়াছড়ির অন্যতম সুন্দর স্থান হলো রিছাং ঝরনা। আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র থেকে গাড়িতে করে যাত্রা শুরু করলাম। একটু বেশি সাহসীরা উঠে গেলাম গাড়ির ছাদে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখার জন্য। একটু ভয় থাকলেও কষ্ট করে ছাদে ওঠায় লাভই হলো। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় ছাদ থেকে পাহাড় দেখার আনন্দ অন্য রকম। পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে ভুলে গেলাম সারা রাতের ভ্রমণের ক্লান্তি। গাড়ি কিছুক্ষণ চলার পর থামতে হলো আমাদের। বড় গাড়ি পাহাড়ি সরু রাস্তায় ঢুকতে পারবে না। নামতে হলো আমাদের সবাইকে। সবাই খুশিমনে হাঁটতে শুরু করলাম পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে। যা দেখছি সবকিছুই ভালো লাগছে। ভালো লাগার মতোই সবকিছু। দল বেঁধে হাঁটতে থাকি পাহাড়ি ইট বিছানো মেঠো পথ ধরে। দুই পাশে উঁচু উঁচু পাহাড়ের মধ্য দিয়ে উঁচু-নিচু পাহাড়ি রাস্তা। কিছুক্ষণ পর পর কাঁধে করে কলার ঝাঁকা নিয়ে ছুটে যাচ্ছে পাহাড়িরা। আমাদের যে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে, সেই রাস্তা দিয়ে তারা অনায়াসেই কলার ঝাঁকা নিয়ে যাচ্ছে। যাত্রা শুরুর আগেই আমাদের সবার হাতে একটি করে বাঁশের লাঠি দেওয়া হয়েছে। এই লাঠি যে কতটা দরকারি উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথে তা দ্রুতই বোঝা গেল।কিছু দূর হাঁটার পর আমাদের নামতে হয় আরও সরু পথে। এবার আর দল বেঁধে হাঁটার উপায় নেই। একজন একজন করে হাঁটতে হবে পাহাড়ি লাল মাটির পথ দিয়ে। হাঁটতে গিয়ে বোঝা গেল, পথগুলো অনেক পিচ্ছিল ও ঢালু। আমাদের আগেই বলে দেওয়া হয়েছে, পাহাড়ি রাস্তায় জোঁকের ভয় আছে। সবকিছু মিলে এক নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। বাঁশের লাঠির ওপর ভর করে আস্তে আস্তে নামতে থাকি পাহাড়ের নিচের দিকে। হঠাত্ আমাদের কানে একটি শব্দ এসে বাজতে থাকে। ঝরনার পানি পড়ার শব্দ।আমরা ঝরনার ওপরের অংশের কাছে গেলাম। পাহাড় থেকে নেমে আসছে পানি। অনেকেই আনন্দের বাঁধ ভেঙে নেমে পড়ল ঝরনার ওপরের অংশের পানিতে। আরও কিছুটা পাহাড়ি পথ নেমে রিছাং ঝরনায় নামলাম আমরা।
নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের আধার রিছাং ঝরনা যেন সৃষ্টির সেরা। প্রায় ১০০ ফুট উপর ঝরনার পানি নিচে পড়ছে। নিচে পড়ার পর আরও প্রায় ১০০ ফুট পাথরের ওপর গড়িয়ে নেমে আসে সমতলে। রিছাং ঝরনার ভালো লাগার বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হলো, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে খেলা করতে পারবেন আপনি। আপনি ফিরে যেতে পারবেন সেই গ্রামের ফেলে আসা শৈশবে। পানি নিচে পড়ার ফলে একটি পিচ্ছিল পথের সৃষ্টি হয়েছে ঝরনার পানি যাওয়ার পথে। আপনি একটু সাহসী হলেই সেই পানির স্রোতের সঙ্গে নিচে নেমে আসতে পারেন। সবাই মেতে উঠি ঝরনার পানির সঙ্গে নেমে আসার খেলায়। আমাদের সঙ্গে ছিল পর্বত আরোহী দল নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশ। তারা নেমে পড়ে রিছাং ঝরনা অবতরণে। ঝরনার ওপরের অংশ থেকে প্রায় ৪০ মিটার নেমে আসেন তাদের ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুসা ইব্রাহীম।
আবার যাত্রা শুরু করলাম আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে। যাওয়ার পথে পাড়ি দিলাম অন্য একটি পথ। পর্যটকদের জন্য বানানো হয়েছে সিঁড়ি দিয়ে তৈরি করা একটি পথ। সিঁড়ি দিয়ে উঠে যাওয়া যাবে অনেকটা পথ। সিঁড়ির পথ শেষ হওয়ার পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে একটু বিশ্রাম নিই। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে কতগুলো বেঞ্চ। আদিবাসীরা পাহাড়ি পথে কিছুক্ষণ পর পর নিয়ে যায় পাহাড়ি কলা। গাছপাকা কলার স্বাদ নিয়ে শরীরটাকে একটু সতেজ করে নিই আমরা। পাহাড়িরা এই কলাকে বলে বাংলা কলা। দামও খুব একটা বেশি নয়।

রহস্যময় সুড়ঙ্গ
নাম শুনলেই কেমন যেন রহস্যের গন্ধ পাওয়া যায়। রহস্যময় সুড়ঙ্গ আসলেই রহস্যময়। নাম শুনেই কেমন যেন ভয় ভয় লাগে। আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে ঢোকার পর বাঁ দিকে রহস্যময় সুড়ঙ্গ। বাঁ দিকের পথ দিয়ে কিছু দূর এগোলেই পাওয়া যাবে রহস্যময় সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গে কখনো একা যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। আমরা সবাই দল বেঁধে নামতে শুরু করলাম রহস্যময় সুড়ঙ্গে। হাতের ডান পাশের পথ দিয়ে ঢুকতে হবে সুড়ঙ্গে। আমাদের মধ্যে ভয়ানক ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করছে। সিঁড়ি ভেঙে আসতে আসতে নামতে থাকি সুড়ঙ্গে। অন্ধকার থাকার কারণে মশাল নিয়ে প্রবেশ করলাম সুড়ঙ্গে। নিচে নামার সঙ্গে সঙ্গে শীতল পানি পায়ে এসে লাগল। পানি পায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গে শীতল পরশ অনুভূত হলো সারা শরীরে। মশালের আধো আলো আধো অন্ধকার নিয়ে প্রবেশ করলাম রহস্যময় সুড়ঙ্গের মধ্যে। সুড়ঙ্গ দিয়ে ছপ ছপ করে পানি নেমে যাচ্ছে নিচের দিকে; অনেক সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে। একটু এদিক-সেদিক হলেই বড় কোনো দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা আছে। সুড়ঙ্গের মধ্যে অনেক ছোট-বড় গর্ত ও পাথরের খণ্ড আছে। পানি যেতে যেতে এর পথ পিচ্ছিল হয়ে গেছে। মশালের আলোয় সুড়ঙ্গের ভেতর পাথরগুলোকে দেখে আলাদা রকম ভালো লাগার অনুভূতি হয় আমাদের মধ্যে। প্রায় ৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দেওয়ার পর বের হয়ে আসতে পারি সুড়ঙ্গ থেকে। বের হওয়ার মুখের অংশটুকু দেখে মনে হয় বৃক্ষ আর সুড়ঙ্গের মিতালি। এক স্বপ্নপুুরীর গল্পের সেই রসস্যময় সুড়ঙ্গ।

খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের একটুকরো নিউজিল্যান্ডকে পাওয়া গেল খাগড়াছড়িতে। সবুজ ঘাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছে খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ড। আলুটিলা পাহাড়ের ওপর থেকে দেখে মনে হয়, সবুজের সঙ্গে মিতালি করে আছে ছোট ছোট ঘর। খাগড়াছড়ি শহরের এক পাশে নিউজিল্যান্ড অবস্থিত। আলুটিলা পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহরকে বিছিন্ন করে রেখেছে চিঙ্গা নদী। চিঙ্গা নদীর পাড়েই নিউজিল্যান্ড। সময় থাকলে দেখে আসতে পারেন খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ড।

যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে ব্যক্তিগতভাবে খাগড়াছড়ি যেতে হলে আপনাকে বাসে যেতে হবে। ঢাকার যেকোনো আন্তজেলা বাস কাউন্টার থেকে খাগড়ছড়ির বাস পাবেন আপনি। এস আলম ও সৌদিয়া বাসে যেতে পারেন। এ জন্য আপনাকে ভাড়া গুনতে হবে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। খগড়াছড়ি শহরে সরকারি পর্যটন মোটেলে থাকতে পারবেন ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে থাকতে পারবেন আপনি। বেসরকারিভাবে থাকার ব্যবস্থাও আছে; এখানে কিছুটা কম ভাড়ায়। হোটেল শৈল সুবর্ণায় ৬০০ থেকে এক হাজার এবং জিরান হোটেলে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকার থাকতে পারবেন। খাগড়াছড়ি শহর থেকে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে আবস্থিত। যেকোনো উপায়ে আপনি আসতে পারবেন আলুটিলায়। আলুটিলা থেকে রিছাং ঝরনা চার কিলোমিটার।

বাদল খান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২৭, ২০০৯

Sunday, September 5, 2010

বমগ্রাম সাইকতপাড়া রুমা, বান্দরবান



বমগ্রাম সাইকতপাড়া রুমা, বান্দরবান দেশের সবচেয়ে উঁচু গ্রামের নাম সাইকতপাড়া। বান্দরবান জেলার রুমা থানায় এর অবস্থান। পাহাড়ে আমার এবারের গন্তব্য বমগ্রাম সাইকতপাড়া। দিনক্ষণ ঠিক করে এস আলম পরিবহনের রাতের বাসে রওনা দিলাম বান্দরবানের উদ্দেশে। ভাড়া ৩৫০ টাকা। সকাল সাড়ে ৭টায় বাস বান্দরবান এসে পেঁৗছাল। রিকশা নিয়ে চলে গেলাম রুমা জিপস্ট্যান্ডে। ২০ টাকা ভাড়া নিল। সকাল ৯টায় চাঁদের গাড়ির ছাদে বসে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দিলাম। চাঁদের গাড়িতে জনপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা। সকাল ১১টায় সদরঘাট পেঁৗছে রুমা বাজারের ট্রলারে চেপে বসলাম। ট্রলারচালকের সহকারী সবার কাছ থেকে ৩০ টাকা করে ভাড়া তুলল। দুপুর ২টায় রুমা বাজারে পেঁৗছে দুপুরের খাবার সেরে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে ফেলি। বিকেল সাড়ে ৩টায় গাইড রুয়াত বমকে সঙ্গে করে রুমা বাজার থেকে যাত্রা শুরু করি। বগামুখপাড়ায় রাত কাটিয়ে পরের দিন দুপুর নাগাদ সাইকতপাড়ায় গিয়ে উঠি।
সাইকতপাড়া সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় দুই হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে। আমরা পাড়ার কার্বারি (গ্রামপ্রধান) সাংচুয়ান বমের ঘরে উঠি। পাড়াটি বেশ ছিমছাম ও গোছানো। এত উচ্চতায়ও বেশ বড় একটি খেলার মাঠ আছে। এখান থেকে কেওক্রাডং পাহাড়ের চূড়া দেখা যায়। পাড়ার কার্বারির কাছ থেকে জানতে পারলাম, ১৯৬১ সালে এখানে পাড়াটি স্থাপিত হয়। ত্লাংচাতপাড়া থেকে প্রথমে ছয়টি পরিবার এখানে এসে বসবাস শুরু করে। বর্তমানে গ্রামটিতে ৩৫টি পরিবারের প্রায় দুই শ লোক বাস করে। পাড়ার এক পাশে পাহাড়ের ফাটল দিয়ে পানি বেরিয়ে একটি প্রবাহ বয়ে চলেছে। পাড়ায় বেশ কিছু কমলা ও কফিগাছ আছে।
লেখা ও ছবি : এম এ মুহিত
Source: dailykalerkantho