বে ড়া নো : চিম্বুক যাত্রা
বান্দরবান শহরের যে স্থান থেকে রামু, থানছি ও মিলনছড়ির দিকে রাস্তা চলে গেছে সেখান থেকে চিম্বুকের দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। এক-দেড় ঘণ্টার পথ। চিম্বুক পৌঁছার আগ পর্যন্ত পুরো সময়টাই কাটে দারুণ আনন্দে। চলার পথে যখন-তখন গাড়ি থামিয়ে নামতে ইচ্ছে করে। যাদের ক্যামেরার ফ্রেমে স্মৃতিকে ধরে রাখাই বেশি পছন্দ, তারা লেন্স থেকে চোখ ফেরাতেই চান না এ সময়। আবার ক্যামেরার কৃত্রিমতা যাদের পছন্দ নয় তারা চক্ষু লেন্সকেই ক্যামেরার কাজে ব্যবহার করেন আপন মনে। চারপাশের প্রকৃতিকে তারা স্মৃতির ফ্রেমে ধরে রাখেন পরম যত্নে। কেবল মাঝেমধ্যে দু’এক জায়গা খানাখন্দে ভরা। বাকি পথের পুরোটাই নির্মল আনন্দে ভরপুর। কেবলই হারিয়ে যেতে চায় মন। প্রকৃতিপ্রেমীরা মনের অজান্তেই গেয়ে ওঠেন—‘ধন-ধন্যে পুষ্পে ভরা/আমাদের এই বসুন্ধরা/স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা সে যে সকল দেশের সেরা...।’ বান্দরবান শহর থেকে চিম্বুকের পথে চলতে গিয়ে এরকম অসংখ্য গান ওঠে আসে গায়কের কণ্ঠে। দেশ এবং প্রকৃতির এ গানগুলো শুনলে তখন গর্বে মন জুড়িয়ে যায়। তাই ভ্রমণ দলে একজন গানওয়ালা অর্থাত্ শিল্পী রাখলে মন্দ হয় না। গানওয়ালা না পাইলেও সমস্যা নেই। নিজেই গলা ছেড়ে শুরু করে দিন। বেড়াতে গিয়ে এক-আধটু গাইলে মনে ফুরফুরে ভাব চলে আসে। দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তির মাঝেও চেহারায় আয়েশি ভাব দেখা যায়। তবে এ সময় শব্দযন্ত্রের ব্যবহার হলে এ ভাব সামান্যই ফুটে ওঠে। কারণ অকৃত্রিমতার মাঝে কৃত্রিমতায় পুরো আনন্দ মিলে না। বান্দরবানের যে অকৃত্রিম সৌন্দর্য পর্যটক মনে আনন্দ দিতে প্রকৃতির রানী সেজে বসে আছে। সেখানে যে কোনো ধরনের কৃত্রিমতাই সৌন্দর্যহীনতার কারণ হতে পারে। প্রকাশ্যে অথবা অগোচরে সেখানে যেভাবে নির্বনায়নের কাজ চলছে তাতে করে সৌন্দর্যের রানীখ্যাত বান্দরবানকে মুকুটহীন রানীতে পরিণত করার পথকেই ত্বরান্বিত করা হচ্ছে বলা চলে। এখানকার বন, পাহাড়, লেক, নদী সর্বত্র নাম জানা-অজানা হাজারও পশু-পাখির বসবাস। শব্দযন্ত্রের আওয়াজ বনে এগুলোর স্বাভাবিক চলাচলকে অস্বাভাবিক করে তোলে। উপজাতি সম্প্রদায়ের জীবন-যাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে। ফলে তারা (উপজাতীয়রা) এক সময় পর্যটকদের ওপর বিরক্ত হয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারেন। এমনটা হলে পর্যটকদের ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। সেই সঙ্গে ক্ষতি হবে আমাদের পর্যটন শিল্পের। কারণ বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শন যেমনি উপভোগ্য, ঠিক তেমনই উপভোগ্য বিচিত্র আর বৈচিত্র্যে ভরা এ আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমাজ-সংস্কৃতির দর্শন, যার টানে প্রতি বছর হাজারও পর্যটকের আগমন ঘটে বান্দরবানে। চিম্বুক যাওয়ার পথে সে সবের অনেকটাই চোখে পড়ে। চাইলে একেবারে কাছ থেকেও দেখে আসা যায়। আদিবাসীরা পর্যটকদের এ চাওয়াকে অপূর্ণ রাখেন না। এতে তাদেরই লাভ। আদিবাসীদের হাতে তৈরি করা মনকাড়া ডিজাইনের লুঙ্গি, গামছা, ফতুয়া, চাদর পাহাড়ে জুম চাষ করে আবাদ করা কলা, আনারস, কমলা পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয়। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে তারা রাস্তার দু’পাশে এসব পণ্য সাজিয়ে বসে থাকেন। পর্যটকদের অনেকে গাড়ি থেকে নেমে পছন্দের পণ্যটি কিনেন আনন্দের সঙ্গে।
এভাবে নানা আনন্দ আর উত্সাহের মাঝে কখন যে চিম্বুকের একেবারে কাছাকাছি চলে যাবেন টেরই পাবেন না। টের পাবেন একটু পরই, যখন বুকে কিছুটা চাপ বোধ করবেন। গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে অনেকেরই মাথা ঘুরে এসময়। কারও বমি বমি ভাব দেখা যায়। তবে ভয়ের কিছু নেই। সমতল ভূমি থেকে এ স্থানের উচ্চতা দেড় থেকে দুই হাজার ফুট। ভূমি থেকে এতটা উচ্চতায় উঠলে মানুষের ওপর প্রকৃতির কিছু বিরূপ প্রভাবের কথা বিজ্ঞানই বলে দেয়। এ অবস্থায় জোরে নিঃশ্বাস নিলে ভালো লাগে। বুকের ওপর থেকে চাপ কমে যাবে। এবার দৃষ্টিকে প্রসারিত করুন, চোখের সামনে অন্য এক বাংলাদেশকে দেখতে পাবেন। কবির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে বাধ্য হবেন, সত্যিই এর রূপের নাইকো শেষ। রূপের মন ভোলানো সৌন্দর্যে চেহারা থেকে কখন যে ভয় আর উত্তেজনার ছাপ মুছে যাবে বুঝতেই পারবেন না। যখন বুঝবেন তখন চিম্বুকের চূড়া থেকে একটু দূরে, মূল সড়কে দাঁড়িয়ে। ডান পাশ দিয়ে আরেকটা সড়ক ওঠে গেছে আকাশপানে। শেষ হয়েছে চিম্বুক চূড়ায় গিয়ে। যাদের শরীরে শক্তি বেশি তারা গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা ধরেন চিম্বুক চূড়ার উদ্দেশ্যে। যারা একটু বেশি আয়েশি স্বভাবের তারা সোজা গাড়ি নিয়েই ছুটে চলেন। চিম্বুক চূড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার চারশ’ ফুট ওপরে। এখানেই চিম্বুক ছুঁয়েছে মেঘকে। মেঘেরা চিম্বুক চূড়ায় খেলা করছে। আপনি হতে পারেন সে খেলার মনোযোগী দর্শক। এমন দৃশ্য ভাবতে ভালোই লাগে। আপনার এই ভাবনার রাজ্যকে হার মানাতে চিম্বুক প্রস্তুত। রোমাঞ্চ-ভয়-উত্তেজনা-আনন্দ—সবই আছে এখানে। প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শক ছুটে আসেন প্রকৃতির টানে। বর্ষার সময়েও যে সংখ্যাটা একেবারে নগণ্য নয়। বর্ষার এ বাদলা দিনে গোটা চিম্বুকই ফিরে পায় নতুন লাবণ্য। চার পাশের সবুজ বনানী ফিরে পায় সজীবতা। কোথাও কোথাও দেখা যায় নতুন লতাপাতা। এ সবের বাইরে ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় যুক্ত হয় নতুন আরও কত কি!
এক পাশে অজোরে বৃষ্টি ঝড়ছে, অন্যপাশে স্বচ্ছ নীলাকাশ। একপাশে মেঘের ঘনঘাটা এত বেশি যে, পাহাড় চূড়া থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সূর্যকীরণ তার (মেঘ) ওপর আছরে পড়ছে। কিন্তু তা ভূপৃষ্ঠকে স্পর্শ করতে পারছে সামান্যই। ফলে এ পাশের সবুজে মোড়া পাহাড় আর বনবনানীগুলোকে মনে হচ্ছে কালো চাদরে ঢাকা। এমন দৃশ্য বর্ষার এ সময়ে চিম্বুক চূড়ায় দাঁড়িয়ে হরহামেশাই দেখা যায়। পূর্ব-দক্ষিণে তাকালে চোখে পড়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, পূর্ব-উত্তরে তাকালে পাহাড়ি নদী সাঙ্গুর চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য। ভারতের মিজোরামে যার উত্পত্তি। চিম্বুক চূড়া থেকে এ নদীকে দু’পাশের পাহাড় আর বনবনানীর মাঝ দিয়ে বয়ে চলা সামান্য পানি রেখার মতোই মনে হয়। এর আশপাশে দু’একটি ঝর্নারও দেখা মিলে বর্ষার এ সময়। দূরে-কাছে কোথাও লোকালয়ের দেখা না মিললেও মাঝে মাঝেই ধোঁয়ার কুণ্ডলীই সেগুলোর অস্তিত্ব বলে দেয়। পাহাড়ি আদিবাসীরা লোকালয়ের আশপাশের পাহাড়ে ঝুম চাষের সময় আগুন লাগালে এ ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এ ধরনের চাষাবাদের মাধ্যমে তারা আদা, আলু, আনারস চাষ করেন। যেগুলো বাজারে বিক্রি করে সারা বছরের রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা করেন। চিম্বুক চূড়া থেকে পাহাড়িদের জীবন-যাত্রার ছিটেফোঁটা চোখে পড়লেও আন্দাজ করা যায় অনেকখানিই। যারা আরও কাছ থেকে দেখে আসতে চান তাদের অনেকেই পাহাড় বেয়ে নেমে পড়েন লোকালয়ে। তবে অচেনা-অজানা এই পথে সঙ্গীহীন না নামাই ভালো। এর পদে পদে আছে ভয় আর শঙ্কা। সে সব ভয় আর আশঙ্কাকে পেছনে ফেলে চিম্বুক জয়ের প্রশান্তি নিয়ে ভালোয় ভালোয় বান্দরবান শহরে ফিরে আসার মাঝেই আছে ভ্রমণের তৃপ্তি। তবে ফিরে আসার আগে চিম্বুক পার হয়ে আরও সামনে এগিয়ে প্রকৃতির আরেক বিস্ময় নীলগিরি’র অপার সৌন্দর্য দেখে আসতে পারলে মন্দ হয় না। ফিরতি পথে শৈলপ্রপাতের পাহাড়ি ঝর্নায় খানিক যাত্রা বিরতি মনে এনে দিতে পারে ফুরফুর আমেজ। এর ফলে বান্দরবান ভ্রমণের এবারের পর্বে চিম্বুক পথের এ যাত্রায় আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে একটি নয়, যুক্ত হতে পারে এক সঙ্গে তিনটি স্পটের নাম। আর্থিক মন্দার এ যুগে একঢিলে তিন পাখি মারার মাঝেই তো আসল কৃতিত্ব। সুতরাং চিন্তা না করে কোনো এক ছুটির দিনকে সামনে রেখে বেরিয়ে পড়ুন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে।
ঢাকা থেকে এসি-ননএসি অনেক বাসই ছেড়ে যায় বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। থাকার জায়গার কোনো সমস্যা নেই সেখানে। হোটেলের সামনেই চাইলে পাবেন চিম্বুকের পথে ছুটে চলার উপযোগী চাঁদের গাড়ি। পনের থেকে ২০ জনের বসার উপযোগী এগুলোর ভাড়া পড়বে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। যারা এটুকু তথ্যে সন্তুষ্ট নন, তারা যোগাযোগ করতে পারেন ০১৯২২১১২৬৭৬ এ নম্বরে।
ঘুরে আসুন চিম্বুক
পাহাড়ের পর পাহাড়। মাঝখানে জেলা বান্দরবান। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতাসম্পন্ন পাহাড়গুলোর অবস্থান এই বান্দরবানে। এর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে বিজয় (প্রায় ৫০০০ ফুট), তাজিংডন(৪৫০০ ফুট), কেওক্রাডাং, চিম্বুক (৩২০০ ফুট), ইত্যাদি। পার্বত্য জেলার ১৩টি আদিবাসীর প্রায় সবগুলোর অবস্থান এই বান্দরবানে। আদিবাসীগুলো হচ্ছে চাকমা, মারমা, টিপরা, ম্রো, খুমি, লুসাই, বোম, উসুই, পাংখো, তঞ্চ্যঙ্গা, খ্যাং, ওচাক। তবে মারমা সমপ্রদায়ের লোকসংখ্যাই বেশি বান্দরবানে।
পুরো বান্দারবান জেলাই প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর।বান্দরবান থেকে পুরো রাস্তা আকাবাঁকা উচুনিচু। চিম্বুকে যাওয়ার পথের পাশে রয়েছে অসংখ্য উপজাতির আবাসস্থল। ঘরগুলো মাচার মতো উঁচু করে তৈরি। চিম্বুকের চূড়া থেকে যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই শুধু পাহাড় আর পাহাড়। সবুজ-শ্যামল পাহাড়ের দৃশ্য চোখ জুড়ানোর অবস্থা। পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে প্রবাহমান সাংগু নদী যা আপনাকে নিয়ে যাবে অনেক দূরে। স্থানীয় উপজাতীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, চিম্বুকের চূড়ায় দাঁড়িয়ে অনেক সময় মেঘও ধরা যায়।
ঢাকা থেকে বাস/ট্রেন/বিমানযোগে চট্রগ্রাম এসে সেখান থেকে বাসে বান্দরবান যাওয়া যায়। বান্দারবান থেকে চিম্বুকে যেতে হবে জিপ গাড়িতে। যাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় চান্দের গাড়ি। চান্দের গাড়িতে গেলে নামতে হবে বুলি বাজারে। ভাড়া করা জিপ নিয়ে সরাসরি চূড়ায় যাওয়া যায়। নিজস্ব জিপ নিয়েও যাওয়া যায়। বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৩৬৪ টি ছোট-বড় মোড় অতিক্রম করে ২৬ কিঃমিঃ দূরে চিম্বুকে যেতে হবে।
বান্দারবানে থাকার জন্য রয়েছে নানা রকম আবাসিক হোটেল। এছাড়া সরকারী রেস্টহাউসসহ জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপথ, বন বিভাগ, এলজিইডি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের রেস্টহাউসও রয়েছে। এছাড়াও বান্দরবান জেলা থেকে ৪.২ কিঃমিঃ দূরে চিম্বুক সড়কের মিলনছড়িতে রয়েছে দি গাইড টু্রস লিঃ এর হিল সাইড রিসোর্ট। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি মনোরম কটেজ ঘর ও ডরমিটরি। কটেজগুলোর একক ভাড়া ৭৫০ টাকা দুজন ১০০০ টাকা। পুরো কটেজ ভাড়া নেওয়া যায়। বোম ঘরের ভাড়া একক ৪৫০ টাকা, দুজন ৭০০ টাকা, মারমা ঘরের ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা, দুজনের ৪০০ টাকা, ডরমিটরির ভাড়া প্রতি বেড ১৫০ টাকা । বেশি বেড নিলে ভাড়া কম।
বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম
চিম্বুক
‘‘বাংলার দার্জিলিং’’ খ্যাত চিম্বুকের নাম দেশের গন্ডী পেরিয়ে আজ বিদেশেও পরিচিত। এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী পর্যটন স্পট যেখানে গাড়িতে চড়ে সরাসরি পাহাড় চূড়োয় পৌছানো যায়। জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে চিম্বুকের অবস্থান। সমুদ্র পৃষ্ট হতে এর উচ্চতা ২৩০০ ফুট। চিম্বুকের পাশে আদিবাসী মুরংদের বসবাস বেশি। জেলার সব ক’টি উপজেলার সাথে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এখানে টিএন্ডটি বোর্ড একটি বেইজ স্টেশন ও একটি টাওয়ার স্থাপন করেছে। পর্যটকদের দৃষ্টিতে এ টাওয়ারটি খুবই আকর্ষণীয়। এ স্থান থেকে বঙ্গোপসাগর দেখা যায়। এখানে প্রায়ই নাটক ও বিজ্ঞাপন চিত্রের স্যুটিং হয়। এখানে সড়ক বিভাগের একটি রেস্ট হাউস রয়েছে । ইহা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি অত্যাধুনিক রেষ্ট হাউজ এখানে নির্মিত হয়েছে। চাঁদের গাড়ীতে চিম্বুক যেতে ১৫০০-২০০০ টাকা এবং জীপ গাড়ীতে ২০০০-২৫০০ টাকা লাগবে।
Source: www.dcbandarban.gov.bd
No comments:
Post a Comment