Search This Blog

FCO Travel Advice

Bangladesh Travel Advice

AFRICA Travel Widget

Asia Travel Widget

Monday, October 4, 2010

লাউয়াছড়া : ঘুমন্ত পাহাড়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য

লাউয়াছড়া : ঘুমন্ত পাহাড়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য

ফখরুল আলম
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক প্রকৃতিপ্রেমীদের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অনন্য স্থান। বন-পাহাড় আর জীবজন্তুর অভয়ারণ্য। পাহাড়ি এই জনপদে রয়েছে খাসিয়াসহ বিভিন্ন উপজাতীয়দের বসবাস। কাছ থেকে দেখলে মনে হবে ঘুমন্ত সবুজ পাহাড়ের অতন্দ্র প্রহরী হলো এসব আদিবাসী। পাহাড়ের পাদদেশে এই জনগোষ্ঠীর যুগ যুগ ধরে প্রকৃতির পরিচর্যা করে লাখো বৃক্ষ লালন-পালন করছে। এর ফলে এসব পাহাড়ে দিন দিন নতুন বৃক্ষ সতেজভাবে বেড়ে উঠছে। পাহাড়ি গাছে লতিয়ে বেড়ে ওঠা পানচাষ করে খাসিয়াদের জীবন চলে। ঐতিহ্যগতভাবে বন, পাহাড়, সবুজ গাছগাছালি ও প্রকৃতির সঙ্গে খাসিয়াদের এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। প্রকৃতির আপনজন হিসেবে অতি কাছে বসবাসকারী খাসিয়ারা তাদের মতোই সভ্যতার অনাদরে প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়ে ওঠা বৃক্ষরাজিকে সন্তানতুল্য মনে করেন। পাহাড়ি শীতল ছায়ায় বেড়ে ওঠা এসব পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মননশীলতাও অত্যন্ত কোমল।
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে এশিয়া মহাদেশের বিরল প্রজাতির একটি গাছ আছে, যার নাম ক্লোরোফর্ম বৃক্ষ। এটি ভূমণ্ডলের একমাত্র আফ্রিকার বন ছাড়া আর কোথাও দেখা যায়নি। এককথায় বলা যায়, দুর্লভ নেশার গাছ। যার পাতার গন্ধে মানুষ নিজের অজান্তে ঘুমিয়ে পড়ে গাছতলায়। অনেকেই এই গাছকে ঘুমপাড়ানি গাছ বলে ডেকে থাকেন। এই গাছটি লাউয়াছড়া ফরেস্ট রেস্ট হাউসের পার্শ্বে রয়েছে। বর্তমানে গাছটির বয়স দেড়শ’ বছর। বয়সের ভারে পাতাগুলোতেও তেমন সতেজতা নেই। তাই তেজও অনেক কমে গেছে। লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের অন্যতম আকর্ষণ ক্লোরোফর্ম এই বৃক্ষটি। মূলত যদিও তার তেজষক্ষমতা কমে আসছে; কিন্তু এখনও এই বৃক্ষটির নিচে দাঁড়ালে গরমের সময় অনেক ঠাণ্ডা অনুভব করা যায়।
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে নিসর্গ নামের একটি প্রকল্প আছে। তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ গাইড রয়েছে। এই প্রকল্পে একটি তথ্যকেন্দ্রও রয়েছে। এখানে লাউয়াছড়া বনের সব তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া উপহারসামগ্রী স্যুভেনির ইত্যাদি পাওয়া যায়।
‘ইকো রেস্তোরাঁ’ আছে। ইচ্ছে করলে রেস্তোরাঁয় খাবারও খাওয়া যাবে।
একসময় শীত মৌসুমে পর্যটকদের আসা-যাওয়া থাকত সিলেটে বেশি। বর্তমানে বছরের সবসময়ই দেশি- বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে। বিশেষ করে চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। এসব ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের আগমন ঘটে শ্রীমঙ্গলের পাখি ও মত্স্য অভয়ারণ্য বাইবকা বিল, রেইন ফরেস্ট, লাউয়াছড়া ছাড়াও দিগন্তরেখা বিস্তৃত চা বাগানের অপূর্ব সৌন্দর্য পর্যটকদের অসম্ভব কাছে টানে। তবে পাশাপাশি দেখতে পারবেন ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে ওঠা সীতেজ বাবুর মিনি চিড়িয়াখানা। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট। রমেশ বাবুর জাদুকরী ৭ কালারের চা। নীলকণ্ঠ কেবিনের ৭ রংয়ের চা আপনাকে তৃপ্তি দেবে।
লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে রয়েছে ১৬৭ প্রজাতির বৃক্ষ ও আকর্ষণীয় বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড। বিশ্বের ৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে যে বিরল প্রজাতির উল্লুক রয়েছে তার দেখাও পাওয়া যায় এই বনে। ২৪৬ প্রজাতির বাহারি রং-বেরংয়ের পাখি। ৪ জাতের উভচর প্রাণী। ৬ প্রজাতির সরীসৃপ। ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ ১৭ প্রজাতির কীটপতঙ্গ রয়েছে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে। ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জায়গা নিয়ে এ উদ্যান রয়েছে জীববৈচিত্র্য। তবে উল্লুক, চশমাবানর, মুখপোড়া হনুমান, লজ্জাবতী এসব হলো বনের আকর্ষণীয় প্রাণী। লাউয়াছড়া বনে হেঁটে হেঁটে আপনি ও আপনার প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বিশাল এই বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর বিভিন্ন ব্যবস্থাও রয়েছে। আধঘণ্টা এক ঘণ্টা ও তিন ঘণ্টার তিনটি ওয়াকিং ট্রেইল। এছাড়াও রয়েছে হাতির পিঠে চড়ে সবুজ বনাঞ্চল ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা। তাছাড়াও সুসজ্জিত বেশকিছু ‘ইকো রিকশা’ রয়েছে। তবে এগুলোয় চড়লে অবশ্যই টাকা দিতে হয়।
আরও কয়েক কিলোমিটার দূরে গেলে দেখা যায়, চা বাগানের ভেতরে বিশাল একটি লেক। লেকটির নাম মাধবপুর লেক। মাধবপুর লেকের সন্নিকটে উপজাতীয় কালচার একাডেমি রয়েছে। বিভিন্ন উপজাতীয় সম্প্র্রদায়ের আচার-অনুষ্ঠান আর সাংস্কৃতিক জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কমলগঞ্জ উপজাতীয় সাংস্কৃতিক একাডেমির চার দেয়াল। এখানকার উপজাতীয় সম্প্রদায়কে নিয়ে তাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সময় কাটান এবং সুখ আহরণ করতে পারবেন আপন মনে। সবুজ প্রকৃতি আর পাহাড়ের মাঝে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা রেলপথও আপনাকে মুগ্ধ করে দেবে।
প্রকৃতির লীলায়িত নন্দন কানন, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বর্ণময়, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী এবং তাদের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্কৃতি নিয়ে গঠিত শ্রীমঙ্গল।
পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দূরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে পাহাড়ের ওপরে উঠতে হবে আপনাকে। ‘যতদূর চোখ যায় ওই দূর নীলিমায় চোখ দুটি ভরে যায় সবুজের বন্যায়’। শিল্পীর গাওয়া এ গানের বাস্তবতা খুঁজে পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে।

যাতায়াত : লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে যেতে হলে শ্রীমঙ্গল শহরে প্রথম যেতে হবে। শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের পাশেই পড়বে পার্কটি। ঢাকা থেকে ট্রেন বা সড়কপথে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়। ভাড়া পড়বে ২০০-২৫০ টাকা। শ্রীমঙ্গল শহরে ভালো হোটেল রয়েছে। থাকা-খাওয়াসহ সবকিছু সহজলভ্য। শ্রীমঙ্গলের অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

লাউয়াছড়ার বনে বনে
লেখা : মুস্তাফিজ মামুন

শ্রীমঙ্গল শহরের কাছেই জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বাংলাদেশের অন্যতম একটি জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়া। দুই-একদিনের সময় হাতে নিয়ে সহজেই বেড়িয়ে আসা যায় জাতীয় এ উদ্যান থেকে। কড়চার এবারের বেড়ানো শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে।

লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের পাশেই রয়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। প্রায় ১,২৫০ হেক্টর জায়গা নিয়ে এ উদ্যানে রয়েছে_১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, চার প্রজাতির উভচর, ছয় প্রজাতির সরীসৃপ, বিশ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ২৪৬ প্রজাতির পাখি। প্রধান সড়ক ফেলে কিছুদূর চলার পরে ঢাকা-সিলেট রেল লাইন। এর পরেই মূলত জঙ্গলের শুরু। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ হলো উলস্নুক, চশমা বানর, মুখপোড়া হনুমান, লজ্জাবতী বানর ইত্যাদি। উদ্যানে বেড়ানোর তিনটি ট্রেকিং পথ আছে। একটি তিন ঘণ্টার, একটি এক ঘণ্টার এবং অন্যটি আধ ঘণ্টার পথ। উদ্যানের ভেতরে একটি খাসিয়া পলস্নীও আছে।

আধ ঘণ্টার ট্রেকিং

এ পথটির শুরু রেললাইন পেরিয়ে হাতের বাঁ দিক থেকে। এ পথের শুরুতে উঁচু উঁচু গাছগুলোতে দেখা মিলতে পারে কুলু বানরের। নানা রকম গাছ-গাছালির ভেতর দিয়ে তৈরি করা এ হাঁটা পথটিতে চলতে চলতে জঙ্গলের নির্জনতায় শিহরিত হবেন যে কেউ। এ ছাড়া এ পথের বড় বড় গাছের ডালে দেখা মিলবে বুনো অর্কিড। যদিও এ সময়টা অর্কিডে ফুল ফোটার সময় নয়। নির্দেশিত পথে হাতের বাঁয়ে বাঁয়ে চলতে চলতে এই ট্রেইলটির শেষ হবে ঠিক শুরুর স্থানেই।

এক ঘণ্টার ট্রেকিং

এক ঘণ্টার ট্রেকিংয়ের শুরুতেই দেখবেন বিশাল গন্ধরুই গাছ। এ গাছের আরেক নাম কস্তুরী। এগাছ থেকে নাকি সুগন্ধি তৈরি হয়। এ ছাড়া এ পথে দেখবেন ঝাওয়া, জগডুমুর, মুলী বাঁশ, কাঠালি চাঁপা, লেহা প্রভৃতি গাছ। আরো আছে প্রায় শতবষর্ী চাপলিশ আর গামারি গাছ। এ ছাড়া এ পথে নানারকম ডুমুর গাছের ফল খেতে আসে উলস্নুক, বানর, হনুমান ছাড়াও এ বনের বাসিন্দা আরো অনেক বন্যপ্রাণী। ভাগ্য সহায় হলে সামনেও পড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এ পথে দেখা মিলতে পারে মায়া হরিণ আর বন মোরগের।

রোমাঞ্চকর ট্রেকিং

তিন ঘণ্টার হাঁটা পথটিও বেশ রোমাঞ্চকর। এ পথের বাঁয়ে খাসিয়াদের বসত মাগুরছড়া পুঞ্জি। এ পুঞ্জির বাসিন্দারা মূলত পান চাষ করে থাকেন। ১৯৫০ সালের দিকে বনবিভাগ এ পুঞ্জি তৈরি করে। এ পথে দেখা মিলবে বিশাল বাঁশবাগান। এ বাগানে আছে কুলু বানর আর বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর। লজ্জাবতী বানর নিশাচর প্রাণী। এরা দিনের বেলায় বাঁশের ঝারে ঘুমিয়ে কাটায়। এ ছাড়া এ পথে দেখা মিলবে নানান প্রজাতির পাখির, আর পথের শেষের দিকে দেখা মিলতে পারে এ বনের অন্যতম আকর্ষণ উলস্নুক পরিবারের। এরা বনের সবচেয়ে উঁচু গাছগুলোতে দলবদ্ধভাবে বাস করে।

কিছু তথ্য

জঙ্গল ভ্রমণে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। বেশি উজ্জ্বল রঙের পোশাক না পরে অনুজ্জল পোশাক পরতে হবে। ইনসেক্ট রিপল্যান্ট ব্যবহার করা উচিত। বনে হৈচৈ করলে বন্যপ্রাণীদের দেখা যাবে না। তাই সর্বোচ্চ নিরবতা পালন করতে হবে। বনের মধ্যে কোনোরকম ময়লা-অবর্জনা ফেলা যাবে না। ট্রেকিংয়ের সময় সঙ্গে পর্যাপ্ত খাবার পানি নিন। আইপ্যাকের প্রশিক্ষিত গাইড সঙ্গে নিয়ে ট্রেকিংয়ে যাওয়া উচিত। নয়তো পথ হারানোর ভয় আছে।

খরচপাতি

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্ক ২০ টাকা, ছাত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১০ টাকা, বিদেশি নাগরিকদের জন্য ৫ মার্কিন ডলার কিংবা সমমূল্যের টাকা। এ ছাড়া কার, জিপ ও মাইক্রোবাস পার্কিং ২৫ টাকা, সিনেমা ও নাটকের শুটিং প্রতিদিন ৬,০০০ টাকা, পিকনিক স্পট ব্যবহার জনপ্রতি ১০ টাকা।

শ্রীমঙ্গল কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক ও বেলপথে শ্রীমঙ্গল যাওয়া যায়। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদ থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ (০১৭১১৯২২৪১৭), শ্যামলী পরিবহন (০১৭১১৯৯৬৯৬৫), সিলেট এক্সপ্রেস (০১৭১৩৮০৭০৬৯), টি আর ট্রাভেলস (০১৭১২৫১৬৩৭৮) ইত্যাদি বাস শ্রীমঙ্গল যায়। ভাড়া ২৫০ টাকা। এ ছাড়া ঢাকার কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬.৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস, দুপুর ২.০০ মিনিটে প্রতিদিন ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ১০.০০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। ভাড়া এসি বার্থ ৫২৬ টাকা, এসি সিট ৩৪৫ টাকা, প্রথম শ্রেণী বার্থ ৩০০ টাকা, প্রথম শ্রেণী সিট ২০০ টাকা, সি্নগ্ধা শ্রেণী ৩৪৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৩৫ টাকা, শোভন ১১০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮.১৫ মিনিটে যায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং শনিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯.০০ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস। ভাড়া প্রথম শ্রেণী বার্থ ৩৭০ টাকা, প্রথম শ্রেণী সিট ২৫০ টাকা, সি্নগ্ধা শ্রেণী ৪২০ টাকা, শোভন চেয়ার ১৬৫ টাকা, শোভন ১৫০ টাকা।

কোথায় থাকবেন

শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো মানের জায়গা ভানুগাছ রোডে টি রিজর্ট (০৮৬২৬-৭১২০৭, ০১৭১২৯১৬০০১)। শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ সড়কে আরেকটি ভালো আবাসন ব্যবস্থা হলো রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট (০২-৯৫৫৩৫৭০, ০১৯৩৮৩০৫৭০৭)। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গলের অন্যান্য হোটেল হলো হবিগঞ্জ সড়কে টি টাউন রেস্ট হাউস (০৮৬২৬-৭১০৬৫), কলেজ রোডে হোটেল পস্নাজা (০৮৬২৬-৭১৫২৫) ইত্যাদি। এসব হোটেল- রিসোর্টে ৫০০-৩ হাজার টাকায় কক্ষ পাওয়া যাবে।

Source: Daily Ittefaq, 22th Feb-2011

লাউয়াছড়ায় গত বছর (২০১০) পর্যটক এসেছেন লাখের বেশি : রাজস্ব আয় সাড়ে ১৭ লাখ টাকা

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি, ৮ জানুয়ারি ২০১১
দেশে ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্টখ্যাত মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে গত বছর (২০১০) রেকর্ডসংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যটক এসেছেন। ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ বছরে এ পার্কে পর্যটক এসেছেন ১ লাখ ৭৮৬ জন। এ থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৮০ টাকা। এ সময়কালে এ পার্কে আগত প্রাপ্তবয়স্ক দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ১৪৯ এবং ছাত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৯০২ জন। বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৯২, বনভোজনে এসেছেন ৩ হাজার ৫৪৩ জন। আগত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৫৭৮টি এবং লাউয়াছড়ায় শুটিং হয়েছে ৪টি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত মৌলভীবাজার বণ্যপ্রাণী রেঞ্জ কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোস্তফা কামাল জানান, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কে দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তিনি জানান, ২০০৮ সালে লাউয়াছড়ায় আগত পর্যটক-দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার জন। ২০০৯ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৪ হাজার জনে দাঁড়ায়।
আইপ্যাক সূত্র জানায়, গত ৫/৬ বছর ধরে এখানে পর্যটকের সংখ্যা প্রতিবছর ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাউয়াছড়ায় ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিরসবুজ এ পাহাড়ি বনাঞ্চল যেমনি জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর তেমনি বনজসম্পদের অমূল্য ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে কনকনে শীত আর অঝোর ধারায় বৃষ্টি এখানকার প্রকৃতিকে করেছে স্বতন্ত্র ও মধুময় যা মানুষ আস্বাদন করতে চায়। তাই এ পার্কে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ১২৫০ হেক্টর আয়তনের এ পার্কটি এখন পৃথিবীর মানচিত্রে এক গৌরবময় স্থান দখল করে নিয়েছে।
Source: Daily Amardesh, 8th January-2011

No comments:

Post a Comment