Search This Blog

FCO Travel Advice

Bangladesh Travel Advice

AFRICA Travel Widget

Asia Travel Widget

Sunday, December 26, 2010

সাগরকন্যা কুয়াকাটায়

সাগরকন্যা কুয়াকাটায়এক দশক ধরে সাগরকন্যা কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেছে। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায় আর সেই স্থানটি হলো বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটা।
সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক কুয়াকাটায় আসেন। ঢাকা থেকে দৌলতদিয়া হয়ে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩৮০ কি. মি., মাওয়া হয়ে এলে এর দূরত্ব ১০০ কি. মি. কমে যায়। তবে সড়ক ও নৌপথ উভয় পথই ব্যবহার করা যায় কুয়াকাটা আসতে। খুলনা-যশোর থেকে বিআরটিসি এবং ঢাকা থেকে সৌদিয়া পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, খানজাহান আলী পরিবহন, অনন্ত পরিবহন, সুগন্ধা পরিবহন, মেঘনা পরিবহন, সাকুরা পরিবহন, ডিসকভারী পরিবহন, সুরভী পরিবহনের দূরপাল্লার বাসগুলো সায়েদাবাদ কিংবা গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এছাড়া ও রেন্ট-এ কারেও এখানে আসা যায়। তবে বরিশালের পর সড়কপথে কুয়াকাটা পেঁৗছতে দবদবিয়া, লেবুখালী, কলাপাড়া, হাজীপুর ও মহিপুর এ ৫টি ফেরি পার হতে হবে। যেসব পর্যটক ঢাকা থেকে কুয়াকাটা আসতে চান তারা ঢাকা সদরঘাট থেকে এমবি আঁচল ৬, পারাবত, সুন্দরবন, দ্বীপরাজ, সুরভী, কীর্তন খোলা, সৈকত, পিন্স অব বরিশালে চড়ে ভোর ৫টার মধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী কিংবা কলাপাড়ায় নামতে পারেন। প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য প্রতি কেবিন ভাড়া ৫ থেকে ৬০০ টাকা, ২য় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য জনপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া। লঞ্চযোগে আসতে হলে পর্যটকরা বরিশাল, পটুয়াখালী ও কলাপাড়া নেমে বাসে কুয়াকাটা আসতে পারেন। অন্যদিকে গাড়িযোগে কুয়াকাটা আসতে চাইলে গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে কুয়াকাটাগামী গাড়িতে উঠতে পারেন। ভাড়া ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা। কুয়াকাটায় পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে পর্যটন হলিডে হোমস্ মোটেল। এছাড়া জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, সওজ ডাক বাংলো এবং এলজিইডি'র বাংলো রয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠেছে প্রায় ৫০টি আবাসিক হোটেল। এর মধ্যে মানসম্মত হোটেলগুলো হচ্ছে_ কুয়াকাটা ইন্টারন্যাশনাল, স্কাই প্যালেস, নীলাঞ্জনা, সী-ভিউ, গোল্ডেন প্যালেস, বীসভেলী, গ্রেভার ইন, সাগরকন্যা, বনানী প্যালেস ও আনন্দবাড়ি এসব হোটেলে ননএসি ৪০০-৬০০ টাকা ভাড়া। এসি ভিআইপি রুম পাওয়া যায় ১ হাজার ২০০, ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় । এসব রুম পর্যটকরা ফোন দিয়ে অগ্রিম বুকিং নিতে পারেন। কুয়াকাটায় দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে দেখতে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাইড নিতে পারেন। মানসম্মত খাবারের জন্য কুয়াকাটা ইন্টারন্যাশনাল, স্কাই প্যালেস এবং নীলাঞ্জনা হোটেলেও খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া খাবারঘর-৫, রাজধানী হোটেল, আপ্যায়ন হোটেল, খেপুপাড়া হোটেলসহ বেশকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর বাইরে অনেকগুলো খাবার হোটেল রয়েছে। যেমন রুচিতা হোটেল, বরিশাল হোটেল, হোটেল মহিপুর, হোটেল কুয়াকাটা ইত্যাদি। এসব হোটেলে কম খরচে উন্নতমানের খাবার পাওয়া যায়। সমুদ্র ভ্রমণে স্পিডবোট ও ছোট ছোট জাহাজ রয়েছে এ কুয়াকাটায়। এসব স্পিডবোট, জাহাজ ও ট্রলারে চড়ে সুন্দরবনের পূর্বাংশ ট্যাংরাগিরির ফাতরার বন, সোনার চর, হাসের চর, কটকা ও গঙ্গামতি লেক ইত্যাদি স্থানে ভ্রমণ করা যায়। সুন্দরবন এবং গভীর সমুদ্রে এসব নৌযান দিয়ে ভ্রমণ করা যায়। জনপ্রতি ১০০-৫০০ টাকা নেওয়া হয়। সমুদ্র সৈকতে রয়েছে অসংখ্য মোটরসাইকেল ও ভ্যান। এ মোটরসাইকেলে চড়ে সমুদ্রের ১৮ কি. মি. সি-বীচ, মিস্ত্রিপাড়ার বৌদ্ধ বিহার, মশ্বিপাড়া সৎসংঘের আশ্রম, কুয়াকাটা ইকোপার্ক, শুঁটকিপল্লী, গঙ্গামতির ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ও বিভিন্ন রাখাইনপাড়া ঘুরে দেখা যায়। এজন্য মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং ভ্যানে ৪ জনে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা দিতে হয়।
উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া

No comments:

Post a Comment