পর্যটকের ঢল নেমেছে পাহাড় কন্যা বান্দরবানে
০০ বান্দরবান সংবাদদাতা
পর্যটকের ঢল নেমেছিল পাহাড়কন্যা বান্দরবানে। টানা তিনদিনের ছুটিতে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে বান্দরবানে ছুটে আসে পর্যটকরা। পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো। কোথাও তীল ধারণের ঠাঁই নেই। হোটেল-মোটেল, রেস্টহাউস এবং গেস্টহাউসগুলোতেও সীট না পেয়ে পর্যটকরা রাস্তায় রাস্তা্য় ঘুরে বেড়ায়। গভীর রাতেও পর্যটকদের সাঙ্গু বীজ, বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বসে সময় কাটাতে দেখা গেছে। রুমা এবং থানছি উপজেলায় পর্যটকরা হোটেল-মোটেলে সীট না পেয়ে পাহাড়ী গ্রামগুলোতে আদিবাসীদের মাচাংঘরগুলোকে থাকার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বেছে নেয়।
প্রতিবছর শীতের শুরুতে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন ঘটে। পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনাময় বান্দরবানে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সমপ্রতি যুক্ত হয়েছে ক্যাবলকার। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মেঘলা পর্যটন কমপ্ল্ল্লেস্নক্সে আরো রয়েছে একই লেকের উপর দু'টি ঝুলন্ত সেতু, মিনি সাফারী পার্ক এবং চিড়িয়াখানা। এছাড়াও পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের টাওয়ারে উঠে পাহাড়ের সমুদ্র দেখছে পর্যটকরা। পাহাড়ের সাথে আকাশ মিতালী গড়েছে নীলাচলে। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা নীলাচলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রয়েছে বাংলার দার্জিলিংখ্যাত চিম্বুক পাহাড় এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত স্বপ্নীল নীলগিরি পর্যটন স্পট। যেখানে অনায়াসে মেঘের ছোয়া পাওয়া যায়। অসংখ্য পাহাড়ের মাঝখানে নির্মিত নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র যেন মেঘে ভাসছে। মুহূর্তে মেঘ এসে এখানে ছুঁয়ে যাচ্ছে কটেজগুলো। জেলা শহর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীলগিরি স্পটটি স্বাস্থ্যকর স্থানও। শহরের অদূরে অবস্থিত শৈলপ্রপাতের স্বচ্ছ ঠান্ডা পানিতে গা ভাসায় পর্যটকরা। পাথরের ফাঁকে ফাঁকে ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি বয়ে চলেছে অবিরাম ধারায়। পাশে বসেই আদিবাসী তরুণীরা কোমর তাঁতে তৈরি কাপড় বিক্রি করছে। এখানে বেড়াতে আসা পর্যটক লীজা ও তানিয়া জানান, অপরূপ সৌন্দর্যে গড়া বান্দরবান। পাহাড়, প্রাকৃতিক লেক, অজস্র ছোট-বড় ঝর্না, ঝুলন্ত সেতু, ক্যাবলকার এবং দেশের সবের্াচ্চ পর্বতচূড়া সাকাহাফংসহ অসংখ্য পাহাড়। সত্যিই অসাধারণ বান্দরবান জেলা। কিন্তু ভাঙ্গা সড়ক আর অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এই সৌন্দর্যকে অনেকাংশে মস্নান করে দিচ্ছে। অন্যদিকে বালাঘাটায় নির্মিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান নামে পরিচিত বৌদ্ধ ধাতু স্বর্ণজাদি জেলায় পর্যটনের ক্ষেত্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এখানে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক।
Source: Daily Ittefaq, 19-12-2010
Related Links:
প্রতিবছর শীতের শুরুতে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন ঘটে। পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনাময় বান্দরবানে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সমপ্রতি যুক্ত হয়েছে ক্যাবলকার। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মেঘলা পর্যটন কমপ্ল্ল্লেস্নক্সে আরো রয়েছে একই লেকের উপর দু'টি ঝুলন্ত সেতু, মিনি সাফারী পার্ক এবং চিড়িয়াখানা। এছাড়াও পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের টাওয়ারে উঠে পাহাড়ের সমুদ্র দেখছে পর্যটকরা। পাহাড়ের সাথে আকাশ মিতালী গড়েছে নীলাচলে। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা নীলাচলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রয়েছে বাংলার দার্জিলিংখ্যাত চিম্বুক পাহাড় এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত স্বপ্নীল নীলগিরি পর্যটন স্পট। যেখানে অনায়াসে মেঘের ছোয়া পাওয়া যায়। অসংখ্য পাহাড়ের মাঝখানে নির্মিত নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র যেন মেঘে ভাসছে। মুহূর্তে মেঘ এসে এখানে ছুঁয়ে যাচ্ছে কটেজগুলো। জেলা শহর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীলগিরি স্পটটি স্বাস্থ্যকর স্থানও। শহরের অদূরে অবস্থিত শৈলপ্রপাতের স্বচ্ছ ঠান্ডা পানিতে গা ভাসায় পর্যটকরা। পাথরের ফাঁকে ফাঁকে ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি বয়ে চলেছে অবিরাম ধারায়। পাশে বসেই আদিবাসী তরুণীরা কোমর তাঁতে তৈরি কাপড় বিক্রি করছে। এখানে বেড়াতে আসা পর্যটক লীজা ও তানিয়া জানান, অপরূপ সৌন্দর্যে গড়া বান্দরবান। পাহাড়, প্রাকৃতিক লেক, অজস্র ছোট-বড় ঝর্না, ঝুলন্ত সেতু, ক্যাবলকার এবং দেশের সবের্াচ্চ পর্বতচূড়া সাকাহাফংসহ অসংখ্য পাহাড়। সত্যিই অসাধারণ বান্দরবান জেলা। কিন্তু ভাঙ্গা সড়ক আর অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এই সৌন্দর্যকে অনেকাংশে মস্নান করে দিচ্ছে। অন্যদিকে বালাঘাটায় নির্মিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান নামে পরিচিত বৌদ্ধ ধাতু স্বর্ণজাদি জেলায় পর্যটনের ক্ষেত্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এখানে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক।
Source: Daily Ittefaq, 19-12-2010
Related Links:
No comments:
Post a Comment