ইনানী হতে পারে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র
০০উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা , Daily Ittefaq
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি, প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি পাহাড় ঘেষা বিসতৃর্ণ সমুদ্র সৈকত মাঝখানে সারি বেঁধে গড়ে উঠা ঝাউবিথির সবুজ বেষ্টনী, বালুচরে জেগে উঠা পাথরের স্তূপ, যেখানে ঢেউয়ের নীল জলরাশি আচড়ে পড়ে। ইনানী বীচের অপার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য শতপ্রতিকূলতা উপেক্ষা করে প্রতিদিন ছুটে আসছে অসংখ্য দেশী-বিদেশী পর্যটক। পর্যটন খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ইনানীকে সেভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে না। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ কক্সবাজার সড়ক হয়ে ইনানী অথবা কক্সবাজার কলাতলী হয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে মাত্র ৩০মিনিটের রাস্তা ইনানী। ইনানীকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন স্পট বা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার ৩৪ বছরে অবহেলিত ইনানীর কিঞ্চিত উন্নয়ন হয়নি। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২০০২ সালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ৪ জন সৈকত পুলিশ দিয়ে চলছে ইনানীর আইন শৃংখলা রক্ষার কার্যক্রম। অথচ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য ইনানীর অদূরে মোঃ শফির বিলে সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে কালের সাক্ষী হয়ে যুগ যুগ ধরে স্মৃতি বহন করে আসছে কানা রাজার গুহা।
জানা গেছে, ১৭৮৪খ্রীষ্টাব্দে মগ সর্দার কানা রাজা বঙ্গোপসাগরে চলাচল রত জাহাজে লুটতরাজ চালানোর জন্য সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত। কক্সবাজার উপকূলে পর্তুগীজ জলদসু্যদের আগমণের পর কিছু সংখ্যক জলদসু্য নিয়ে কানা রাজা এ গুহায় আশ্রয় নিয়ে দসু্যতা অব্যাহত রাখেন। প্রাচীন কালের স্মৃতি বিজড়িত কানা রাজার গুহা সংস্কার করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানো যেত। এই ছাড়া ইনানীর পাটুয়ার টেক সমুদ্র সৈকতে প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টির পাথুরে বীচ, প্রবাল এবং পাথরে আচড়ে পড়ছে সমুদ্রে নীল জলরাশি। এখানে দাড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র সৈকতে গিয়ে প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য একবার যারা উপভোগ করেছে তারা এ দৃশ্য দেখার জন্য বারবার ইনানীতে ছুটে আসেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে শোনা যাচ্ছিল ইনানীর সৈকতে ৫শত একর জায়গার উপর গড়ে উঠবে এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোন। যা শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। অথচ বিগত ৩৪ বছেরেও উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না।
সমপ্রতি বেসরকারিভাবে ইনানীতে পর্যটকদের আবাসন সুবিধা গড়ে উঠছে। তন্মধ্যে ইনানী বীচ রিসোর্ট, প্যাবেল স্টোন, রেডিয়েন্ট রিসোর্ট অন্যতম। বাণিজ্যিকভাবে সোনার পাড়া ইনানী, পাটুয়ারটেক, মোঃ শফির বিল, চেপটখালী, মনখালী, সমুদ্র উপকূলে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে পর্যটন রিসোর্ট গড়ে তোলার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গ্রীন ডেল্টা হাউজিং এন্ড ডেভেলপার, কোরাল রিপ, এলিট হাউজিং, মিশন গ্রুপ, এমিকাস, সায়মন বসতি ডেভেলপারসহ বহু হাউজিং কোম্পানী ব্যক্তি মালিকানায় শত শত বিঘা জমি ক্রয় করে পর্যটন রিসোর্টসহ বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারা এসব স্থাপনা অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলে পর্যটন বিকাশে বাধা হয়ে দাড়াবে বলে পরিবেশবাদী সচেতন মহল মনে করেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ বিন ইকরাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ইনানীতে একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য ইনানীতে জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পর্যটকদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হবে। এ জন্য কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৫শত একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। উক্ত এলাকায় বেসরকারিভাবে কোন প্রকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ কক্সবাজার সড়ক হয়ে ইনানী অথবা কক্সবাজার কলাতলী হয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক পথে মাত্র ৩০মিনিটের রাস্তা ইনানী। ইনানীকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন স্পট বা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার ৩৪ বছরে অবহেলিত ইনানীর কিঞ্চিত উন্নয়ন হয়নি। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২০০২ সালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। ৪ জন সৈকত পুলিশ দিয়ে চলছে ইনানীর আইন শৃংখলা রক্ষার কার্যক্রম। অথচ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য ইনানীর অদূরে মোঃ শফির বিলে সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে কালের সাক্ষী হয়ে যুগ যুগ ধরে স্মৃতি বহন করে আসছে কানা রাজার গুহা।
জানা গেছে, ১৭৮৪খ্রীষ্টাব্দে মগ সর্দার কানা রাজা বঙ্গোপসাগরে চলাচল রত জাহাজে লুটতরাজ চালানোর জন্য সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত। কক্সবাজার উপকূলে পর্তুগীজ জলদসু্যদের আগমণের পর কিছু সংখ্যক জলদসু্য নিয়ে কানা রাজা এ গুহায় আশ্রয় নিয়ে দসু্যতা অব্যাহত রাখেন। প্রাচীন কালের স্মৃতি বিজড়িত কানা রাজার গুহা সংস্কার করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানো যেত। এই ছাড়া ইনানীর পাটুয়ার টেক সমুদ্র সৈকতে প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টির পাথুরে বীচ, প্রবাল এবং পাথরে আচড়ে পড়ছে সমুদ্রে নীল জলরাশি। এখানে দাড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র সৈকতে গিয়ে প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য একবার যারা উপভোগ করেছে তারা এ দৃশ্য দেখার জন্য বারবার ইনানীতে ছুটে আসেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে শোনা যাচ্ছিল ইনানীর সৈকতে ৫শত একর জায়গার উপর গড়ে উঠবে এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোন। যা শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। অথচ বিগত ৩৪ বছেরেও উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না।
সমপ্রতি বেসরকারিভাবে ইনানীতে পর্যটকদের আবাসন সুবিধা গড়ে উঠছে। তন্মধ্যে ইনানী বীচ রিসোর্ট, প্যাবেল স্টোন, রেডিয়েন্ট রিসোর্ট অন্যতম। বাণিজ্যিকভাবে সোনার পাড়া ইনানী, পাটুয়ারটেক, মোঃ শফির বিল, চেপটখালী, মনখালী, সমুদ্র উপকূলে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে পর্যটন রিসোর্ট গড়ে তোলার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গ্রীন ডেল্টা হাউজিং এন্ড ডেভেলপার, কোরাল রিপ, এলিট হাউজিং, মিশন গ্রুপ, এমিকাস, সায়মন বসতি ডেভেলপারসহ বহু হাউজিং কোম্পানী ব্যক্তি মালিকানায় শত শত বিঘা জমি ক্রয় করে পর্যটন রিসোর্টসহ বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারা এসব স্থাপনা অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলে পর্যটন বিকাশে বাধা হয়ে দাড়াবে বলে পরিবেশবাদী সচেতন মহল মনে করেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ বিন ইকরাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ইনানীতে একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য ইনানীতে জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পর্যটকদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হবে। এ জন্য কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৫শত একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। উক্ত এলাকায় বেসরকারিভাবে কোন প্রকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment