বমগ্রাম সাইকতপাড়া রুমা, বান্দরবান দেশের সবচেয়ে উঁচু গ্রামের নাম সাইকতপাড়া। বান্দরবান জেলার রুমা থানায় এর অবস্থান। পাহাড়ে আমার এবারের গন্তব্য বমগ্রাম সাইকতপাড়া। দিনক্ষণ ঠিক করে এস আলম পরিবহনের রাতের বাসে রওনা দিলাম বান্দরবানের উদ্দেশে। ভাড়া ৩৫০ টাকা। সকাল সাড়ে ৭টায় বাস বান্দরবান এসে পেঁৗছাল। রিকশা নিয়ে চলে গেলাম রুমা জিপস্ট্যান্ডে। ২০ টাকা ভাড়া নিল। সকাল ৯টায় চাঁদের গাড়ির ছাদে বসে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দিলাম। চাঁদের গাড়িতে জনপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা। সকাল ১১টায় সদরঘাট পেঁৗছে রুমা বাজারের ট্রলারে চেপে বসলাম। ট্রলারচালকের সহকারী সবার কাছ থেকে ৩০ টাকা করে ভাড়া তুলল। দুপুর ২টায় রুমা বাজারে পেঁৗছে দুপুরের খাবার সেরে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে ফেলি। বিকেল সাড়ে ৩টায় গাইড রুয়াত বমকে সঙ্গে করে রুমা বাজার থেকে যাত্রা শুরু করি। বগামুখপাড়ায় রাত কাটিয়ে পরের দিন দুপুর নাগাদ সাইকতপাড়ায় গিয়ে উঠি।
সাইকতপাড়া সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় দুই হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে। আমরা পাড়ার কার্বারি (গ্রামপ্রধান) সাংচুয়ান বমের ঘরে উঠি। পাড়াটি বেশ ছিমছাম ও গোছানো। এত উচ্চতায়ও বেশ বড় একটি খেলার মাঠ আছে। এখান থেকে কেওক্রাডং পাহাড়ের চূড়া দেখা যায়। পাড়ার কার্বারির কাছ থেকে জানতে পারলাম, ১৯৬১ সালে এখানে পাড়াটি স্থাপিত হয়। ত্লাংচাতপাড়া থেকে প্রথমে ছয়টি পরিবার এখানে এসে বসবাস শুরু করে। বর্তমানে গ্রামটিতে ৩৫টি পরিবারের প্রায় দুই শ লোক বাস করে। পাড়ার এক পাশে পাহাড়ের ফাটল দিয়ে পানি বেরিয়ে একটি প্রবাহ বয়ে চলেছে। পাড়ায় বেশ কিছু কমলা ও কফিগাছ আছে।
লেখা ও ছবি : এম এ মুহিতসাইকতপাড়া সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় দুই হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে। আমরা পাড়ার কার্বারি (গ্রামপ্রধান) সাংচুয়ান বমের ঘরে উঠি। পাড়াটি বেশ ছিমছাম ও গোছানো। এত উচ্চতায়ও বেশ বড় একটি খেলার মাঠ আছে। এখান থেকে কেওক্রাডং পাহাড়ের চূড়া দেখা যায়। পাড়ার কার্বারির কাছ থেকে জানতে পারলাম, ১৯৬১ সালে এখানে পাড়াটি স্থাপিত হয়। ত্লাংচাতপাড়া থেকে প্রথমে ছয়টি পরিবার এখানে এসে বসবাস শুরু করে। বর্তমানে গ্রামটিতে ৩৫টি পরিবারের প্রায় দুই শ লোক বাস করে। পাড়ার এক পাশে পাহাড়ের ফাটল দিয়ে পানি বেরিয়ে একটি প্রবাহ বয়ে চলেছে। পাড়ায় বেশ কিছু কমলা ও কফিগাছ আছে।
Source: dailykalerkantho
No comments:
Post a Comment