সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সবুজ বৃষ্টিত নাইক্ষ্যংছড়ি প্রাণ কেন্দ্রে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো ঘোঁষে প্রায় আধা কিলো মিটার দীর্ঘ কার্পোটিং সড়ক যুক্ত প্রাকৃতির অপরূপ শোভায় শোভিত উপরণ লেক রয়েছে। একে আরো সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে তোলেছে দৃষ্টিনন্দন সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির সবুজ পাতার গাছ গুলো। উপজেলা সদর প্রাণ কেন্দ্র থেকে ১/২ কিলোমিটার দক্ষিণে উত্তরবিছামারা এলাকায় এম.এ.কালাম ডিগ্রি কলেজ, শৈল শক্তি শিশু বাগ কে.জি স্কুল, মদিনাতুল উলুম ইনস্টিটিউট দাখিল মাদরাসা ঘোঁষে স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম গয়াল গবেষনা কেন্দ্রের বাংলাদেশ পশুসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বি.এল.আর.আই) আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র। সদর উপজেলার উত্তরে আধ কিলোমিটারে রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি বি.জি.বির জোন কেন্টেলমেন্ট। শীত মৌসুমে প্রতিদিন পিকিনক পাটি, দেশী-বিদেশী পর্যটক, স্কুল,কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা শিক্ষা সফরে আসেন। সাংবাদ কর্মীরা এখানে গয়াল গবেষণা কেন্দ্রে কিভাবে গয়াল প্রজনন প্রক্রিয়া হয়, তা দেখতে আসেন। এতোসব সমৃদ্ধতার কারণে প্রাকৃতিক সবুজ বেষ্টিত উপবন লেক্ অপার সম্ভাবনাময় অপরূপ সৌন্দর্যের রানী নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রতিদিন ভ্রমন ও প্রাকৃতিক সম্পদ পাহাড় নিজ নামে লিজ নিতে অথবা ক্রয় করতে আসেন বিভিন্ন জেলার অসংখ্য পর্যটক ও ব্যবসায়ী শিল্পপতি। স্থানীয়দের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও উপজাতীয়দের স্বভার এবং অতিথি পরায়নতা দেখে তারা অবাক হয়ে যান।পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র পরিনত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের এক মাত্র গয়াল প্রজনন কেন্দ্র, বৈদেশিক রপ্তানিকৃত চা পাতার বাগান, রাবার বাগান, ভূগর্ভস্থ বাংলাদেশের সর্বব্রহত্র সম্ভাবনাময়ী তৈল ক্ষেত্র ও সীমান্তবর্তী মায়ানমার বাংলাদেশ মৈত্রী বানিজ্য বন্দর সমৃদ্ধ এ পর্যটনে পয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব এমন ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ মহলের।
এলাকাবাসীর পক্ষে উত্তর বিছামারা গ্রামের সমাজ সর্দার আব্দুর রহমান জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির মতোই বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এ রকম প্রাকৃতিক সবুজ বেষ্টিত পর্যটন কেন্দ্রটি আজ তিন পার্বত্যের মধ্যেই বিখ্যাত। তাই এলাকাবাসীসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গুলো দীর্ঘদিন ধরে এখানে আকর্ষনীয় মডেল পর্যটন কেন্দ্র গড়ার দাবি জানিয়ে আসছে। অধজ এ উপকস লেক্ টি উন্নয়নের কোন পদক্ষেপ এ পর্যন্ত নেয়া হয়নি। বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্দ্যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেক্ টি মডেল পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত করার ঘোষনার পয়োজনে জরিপ কাজ চালানোর মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করার দাবি জানিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ডা: সিরাজুল হক আরো মনে করেন নাইক্ষ্যংছড়ি পার্বত্য এলাকার সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতকে আরো প্রসারিত করে, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশা পাশি অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ইতি মধ্যে বিভিন্ন প্রিন্টমিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা এসে বিভিন্ন তথ্য, ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ধারন করে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকটি আরো আকর্ষনীয় মডেল পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন।
Source: http://dailylalgolap.com