এই জেলা আদিবাসীদের মধ্যে বসবাস করেন ১৩ টি নৃতাক্তিজাতির সহ বাঙ্গালীরা গোষ্ঠী ও জীবনচিত্র দেখে আমরা মুদ্ধ হই প্রতিনিয়ত। প্রাকৃতিকে কাছ থেকে দেখতে না পারায় কখনো কখনো অসহায় বোধ করি শহরবাসী।আমাদের অনেকেরই জানা নেই আমাদের দেশের প্রাকৃতিক রুপময়তার কথা।
একবার ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেই আসুন জীবনানন্দের রুপসী বাংলা নজরুলের বাংলাদেশ -বিশ্ব কবির সোনার বাংলা রুপের যে তা নেইকো শেষ ,এ ভুমি যে কি পরিমান রুপ রস ঐশ্বর্য্য আপন বুকে লূকিয়ে রেখেছে তা না দেখে কল্পনাই করা যায়না। এই রুপের কোন মানুষ যদি স্বাদ গ্রহন করতে চান তবে চলে আসুন বান্দরবান পার্বত্য জেলা শহরের।
প্রাকৃতির নি:স্বগের চিরসবুজ শৈল শ্রেনীর পাদদেশে গড়ে ওঠা অর্পূব লীলাভ’মি বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রকৃতি রুপ আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বান্দরবান প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটনপিপাসুদেরও অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে । বান্দরবান পার্বত্য জেলা আদিবাসীদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত স্থান হিসাবে সুযোগ পাওয়া যায়।
এখানে বিভিন্ন আদিবাসীরা বসবাস করে থাকেন-মারমা, ম্রো খুমী, লুসাই, বম, পাংখো, চাক,খীসা, ত্রিপুরা, চাকমা, টঞ্চগ্যা। এদের মধ্যে নিজস্ব সংস্কৃতি ও সামাজিক রীতি নীতিমালা নিজ সাংস্কৃতিক নিয়ে জীবন যাত্রা। তাই বান্দরবান পার্বত্য জেলা আদিবাসীদের মধ্যে মারমা আদিবাসীরা সংখ্যা দিক দিয়ে বেশি বলা চলে।
বাংলাদেশের যে কয়েকটি স্থান পর্যটকদের স্থান হিসাবে আকৃষ্ট করে তাদের মধ্যে নি:সন্দেহে বান্দরবান অন্যতম। শহরের কোলাহল, যানজট, যান্ত্রিক নগরী থেকে একটু স্বস্তি পেতে পারেন বান্দরবান এলাকায় বেড়ানো।
বান্দরবান জেলা নাম করণ করা হয়েছি অতীতে এই জেলা ছিল বানর ও জীবন বিচিত্র ভরপুর। এতে বানর ছিলেনঅন্যতম/ভরপুর তা কারনে বান্দরবান নাম করণ করা হয়। বর্তমানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত।
কিভাবে যাবেন:
বান্দরবান পার্বত্য জেলা বন্দর নগরী চট্রগ্রাম থেকে ৯২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহর। পূরবী-পূর্বানী ও মাইক্রোবাস যোগের যাওয়া যায় জন প্রতি ৭৫ টাকা ভাড়ায়।
চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান ২ ঘন্টা মধ্যে বান্দরবান শহরের গাড়ী/বাস টি শহরের পৌছানো ব্যবস্থা করে দিবেন। এখানে সবুজ বনানী ঘেড়া বান্দরবানের হোটেল মোটেল গুলোর অতিথেয়তায় সত্যিই মুদ্ধ হবেন আপনি। মধ্যম মান থেকে উচচ মানের এ সব অতিথিশালায় নন এসি /এসি রুমে রাত্রি যাপনের সুযোগ থাকছে বিভিন্ন হোটেল গুলোতে।
এখানে রয়েছে পর্যটন মোটেল, শেঘলা পর্যটন, হোটেল রয়েল, জেলা পরিষদ রেষ্ট হাউজ,হোটেল পূরবী, হোটেল পূর্বাণী, হোটেল গ্রীন হিল, হোটেল মাষ্টার , হোটেল থ্রী ষ্টার ,হোঠেল ফর ষ্টার, মিলন চড়ি, সাকুরা হিল সাইড রিসোর্স সহ অন্যতম। এছাড়া রয়েছে বান্দরবানে অন্যতম পর্যটন ষ্পট নীলগিরি যার অবস্থিত রুমা উপজেলা ৩৫৫ নং সেপ্রু মৌজা।
সেখানে প্রকৃতির অপারুপ লীলা ভ’মিতে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা এবং যাতায়াত ব্যবস্থা পূর্বের চেয়ে সহজ ও জীপ যোগের আরামদায়ক হওয়ার কারনে এ শহরে একবার ভ্রমনবার বার পাহাড় এর দর্শন পেতে সাধ জাগবে আপনার।
চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবান আসার পথে চোকে পড়বে মেঘলা, হলিডে ইন সহ বিভিন্ন ষ্পট গুলো। বান্দরবান শহর থেকে ৩( তিন) কিলোমিটার দূরে মেঘনা অবস্থিত।
যার চার পাশে পাহাড় বিশিষ্ট যার বাধঁ কেন্দ্র করে ঝলন্ত সেতু নিমার্ণ করা হয়েছে । বর্মমানে জেলা প্রশাসন তত্বাবধানের জেলা পরিচালিত হয়ে আসছেন। মেঘনা যার আয়তনে ৩০ একর এলাকায় বিস্থিত অবস্থান।
পাশে রয়েছেন জেলা পরিষদ ভবন ও পর্যটন মোটেল গুলোতে রাত্রি যাপন করতে পারেন আপনিও। নীলগিরি যাওয়া পথে চিম্বুক পর্যটন যেখানে কুয়াশার চাদরে শীত কালে ঢাকা থাকে প্রতিনিয়ত বলা। আকাশের সেই সারি সাি মেঘ খন্ড কার মন না চায় ধরতে। চিম্বুকের পাহাড়ের চুড়া থেকে মেঘের পরশ পাওয়ার অনুভ’তি সত্যি আপনাকে বিমোহিত করবে।
চিম্বুক পাহাড় থেকে কক্সবাজার সহ সু নীল জলরাশি। পাহাড়ের পাহাড়ের ম্রো আদিবাসীদের জীবন ধারা দেখতে পারেন। প্রান্তিক লেক বান্দরবান শহরের পাশে হলুদিয়া নামক স্থানে ২০০ একর জায়গার পাহাড়ের ঘেড়া প্রান্তিক লেক ও ন্যাচারাল পার্ক সহ আর্কষনীয় স্থান রয়েছে সেখানে নীলাচল বান্দরবান শহরের যৌথ খামার এলাকায় টাইগার হিলে অবস্থিত যার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে।
জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে পরিচালিত এ পর্যটন কেন্দ্রটি অত্যন্ত মেনামুগ্ধকরা ও আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে পরিচিত লাভ করছে দিন দিন। যেখান থেকে বান্দরবান শহর কে দেখতে পারেন।রুমা জলপ্রপাত রুমা উপজেলা থেকে ৬ কিলোমিটার দুুরে সু-উচচ পাহাড় থেকে শঙ্গ নদীতে পতিত হয় সারা বছরে ধরে পানি।
স্বর্ণ মন্দির বান্দরবান শহরের পাশে বালাঘাটা আদুরের অবস্থিত। সেখানে বৌদ্ধ ধর্ম লম্বীদের জন্য স্বর্ণ মন্দির বিখ্যাত হয়ে পড়ে আছেন।
তাই বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রাকৃতিক- পরিবেশ রক্ষা সহ উপযোগী পর্যটন নগরীতে পরিণত করা সম্ভাবনা অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দারিয়েছে।
বান্দরবান, ৭ এপ্রিল, রেডটাইমস বিডি ডটকম: